এবারের ঈদযাত্রার ১২ দিনে সারাদেশে সড়ক দুর্ঘটনায় ৬৮১ জনের প্রাণ গেছে। দুর্ঘটনায় গড়ে প্রতিদিন ৫৬ জন প্রাণ হারিয়েছেন। আহত হয়েছেন অন্তত দুই হাজার ৭৭ জন। এককভাবে দুর্ঘটনা ও প্রাণহানির সংখ্যায় শীর্ষে রয়েছে মোটরসাইকেল। মোট ১ হাজার ৬১৮টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ৯৬৮ জন আহত এবং ১৯০ জন নিহত হয়েছেন।
পবিত্র ঈদুল ফিতরের আগে-পরের ১২ দিনে দেশের ২৮টি জাতীয় দৈনিক, বিভিন্ন সংবাদ সংস্থা ও টেলিভিশনে পাওয়া তথ্য এবং সারা দেশে সংগঠনের স্বেচ্ছাসেবীদের দেওয়া তথ্য সমন্বয় করে এ তথ্য জানিয়েছে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সেভ দ্য রোড। মঙ্গলবার সংগঠনের মহাসচিব শান্তা ফারজানার স্বাক্ষরে গণমাধ্যমে এ বিষয়ে বিবৃতি পাঠায় সেভ দ্য রোড।
বিবৃতিতে বলা হয়, ঈদে নিয়ম না মানা ও হেলমেট ব্যবহারে অনীহার কারণে ১ হাজার ৬১৮টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ৯৬৮ জন আহত এবং ১৯০ জন নিহত হয়েছে; অসাবধানতা ও ঘুমন্ত চোখে-ক্লান্তিসহ দ্রুত চালানোর কারণে ৪০৭টি ট্রাক দুর্ঘটনায় আহত হয়েছে ৩২১ জন এবং নিহত হয়েছে ১৬৮ জন; খানাখন্দ, অচল রাস্তাঘাট ও সড়কপথে নৈরাজ্যের কারণে ৪৬৭টি বাস দুর্ঘটনায় আহত হয়েছে ৩১০ জন এবং নিহত হয়েছে ১৫৪ জন; পাড়া-মহল্লা-মহাসড়কে অসাবধানতার সঙ্গে চলাচলের কারণে লরি-পিকআপ-নসিমন-করিমন-ব্যাটারি চালিত রিকশা ও সিএনজি চালিত অটোরিকশার দুর্ঘটনা ঘটেছে ৬৮৬টি, এতে আহত হয়েছে ৪৭৮ জন এবং ১৬৯ জন নিহত হয়েছে। দুর্ঘটনায় গড়ে প্রতিদিন মৃত্যুবরণ করেছেন ৫৬ জন এবং আহত হয়েছেন ২৬৪ জন।
বিবৃতিতে ঈদযাত্রায় কৃত্তিম টিকিট সংকট ও বেশি দামে টিকিট বিক্রির বিষয়েও কথা বলে সংগঠনটি। তারা বলছে— এতে সম্পৃক্ত ছিল সরকারি দলের নেতাকর্মীদের পাশাপাশি পুলিশ-প্রশাসনের একটি বড় অংশ।
এছাড়াও এবারে ঈদযাত্রা ও ফেরাকে কেন্দ্র করে ১০ হাজার কোটি টাকারও বেশি চাঁদাবাজি হয়েছে বলে দাবি করেছে সংগঠনটি। তাদের অভিযোগ, জনগণকে ভোগান্তিতে ফেলা হলেও পুলিশ-প্রশাসন নীরব ভূমিকা পালন করেছে। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সংগঠনটি।